আব্দুস সালাম, টেকনাফ ;
কক্সবাজারের টেকনাফে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নুরুল ইসলাম রাশেদ (১৮) নামের এক যুবককে সৎ ভাই ও চাচার মাধ্যমে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা হিসেবে ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভিকটিমের বড় বোন রুজিনা আক্তার এমন দাবি করেছেন।
নিহত যুবক নুরুল ইসলাম রাশেদ টেকনাফ বাহারছড়া ১নং ওয়ার্ড শামলাপুরের মৃত রশিদ আহমেদের তৃতীয় স্ত্রীর সন্তান।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে টেকনাফ বাহারছড়ার শামলাপুরে নিজ বাড়ির ভিটির একটি পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নুরুল ইসলাম রাশেদের বড় বোন রুজিনা আক্তার জানান, পৈত্রিক জমি নিয়ে সৎ ভাই আজিজুল ইসলাম প্রকাশ পুতিয়া, মো. ইসলাম, চাচা কবির আহমেদ কোম্পানি এবং সৎ বোনের জামাই কাদির হোসেনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকনের কাছে বিচার প্রক্রিয়া চলমান ছিল, যা এখনো মীমাংসা হয়নি।
রুজিনা আরও জানান, সৎ ভাই আজিজুল ইসলাম প্রায়ই হুমকি-ধমকি দিত, যা নিয়ে তারা সবসময় আতঙ্কে থাকতেন। সম্প্রতি তাদের মা চকরিয়ায় নানার বাড়ি গেলে রাশেদ একাই বাড়িতে ছিলেন। বুধবার সকালে স্থানীয় এক নারী তাদের খবর দেন যে, রাশেদের মরদেহ বাড়ির পেয়ারা গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
তিনি বলেন, “আমি গিয়ে দেখি, রাশেদের মরদেহ পেয়ারা গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে, কিন্তু পা মাটিতে লেগে ছিল। তার পরনের কাপড়, হাতঘড়ি, পায়ের সেন্ডেল স্বাভাবিক অবস্থায় ছিল। জিহ্বা বের হয়নি। এ ঘটনাকে প্রতিপক্ষ আত্মহত্যা হিসেবে চালানোর চেষ্টা করছে। আমরা সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার শাহ জানান, “শামলাপুর এলাকায় নুরুল ইসলাম রাশেদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।